বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
তরফনিউজ ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। চিঠিও রেডি রয়েছে। রোববার রাতে অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন চিঠি পেয়েছেন বলে জানা যায়। দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া শুরু হবে।
জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা দূরে যাবেন তাদের অনেকে রাতে চিঠি নিয়ে গেছেন। বাকিদের সোমবার (২৬ নভেম্বর) গুলশান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হবে। শরিকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার রাতেই অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সোমবার বাকিটা চূড়ান্ত হবে।
জানা যায়, রোববার দিনগত রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ অনেকে চিঠি সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সব জেলার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে রোববার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, অধিকাংশ আসনেই দু’জনকে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হবে। এতে একজনের মনোনয়ন বাতিল হলেও বিকল্প প্রার্থী থাকবে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, শরিকদের জন্য অন্তত ৬০টি আসন ছেড়ে ২৪০টি আসনে মনোনয়ন চিঠি দিতে পারে বিএনপি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচ্ছে পুরনো মিত্র জামায়াত। তাদের ২৫টির মতো আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এর পরে থাকবে গণফোরাম।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, এবারের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক ব্যতিক্রম ছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই বলতে যা বোঝায় সবই ছিল। বোর্ডের সদস্যরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকায় খুবই সন্তুষ্ট। স্কাইপের মাধ্যমে তিনি লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ডের সভাপতিত্ব করেছেন। প্রার্থী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাদের মতামতকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান ইতোমধ্যে করা চারটি জরিপের ফল সামনে নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। প্রত্যেক আসনে জরিপে শীর্ষস্থান পাওয়া প্রথম তিন থেকে পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা হয়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩টি চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ঢাকা-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১০ আবদুল মান্নান, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ এসএ সাজু, ঢাকা-১৭ মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন, ঢাকা-২০ তমিজউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল অথবা রতন চেয়ারম্যান, ঢাকা-৭ মোস্তফা মহসিন মন্টু, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব অথবা ঐক্যফ্রন্টভুক্ত কোনো দলের নেতা, ঢাকা-১১ এমএ কাইয়ুম অথবা সফিউল বারী বাবু, ঢাকা-১৫ সিনিয়র কোনো নেতা অথবা মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন অথবা আহসান উল্লাহ হাসানকে নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা ১৮ আসনটি জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রবের স্ত্রী দলের সহসভাপতি তানিয়া রবকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এই আসনে ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। এবার তাকে খুলনা-৪ আসনটি দেওয়া হতে পারে।
সূত্র : বাংলানিউজ